এবার সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল করে জারি করা ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার অনলাইন ও অফলাইনে এই কর্মসূচির পক্ষে প্রচারণা চালায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে সমর্থন দিচ্ছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, দাবি আদায় করে আমরা ঘরে ফিরব।
এ ছাড়া রোববার (৭ জুলাই) সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে নতুন সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল রোববার থেকে আবারও সর্বাত্মক কর্মসূচি শুরু হবে। কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা হবে না।
এদিকে সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহারের দাবিতে গত সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মবিরতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
এদিকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জের ধরে সারজিস আলম নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে অমর একুশে আবাসিক হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাবির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ওই হলের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। পরে আলমকে হলে ফেরায় হল প্রশাসন।